বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা গোল্ডকাপ টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন দল ময়মনসিংহের পাঁচরুখী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খোলোয়াড় পান্না আক্তার। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার নেয় সে।
পুরস্কার গ্রহণের সময় প্রধানমন্ত্রীর আদর পেয়ে পান্না বলে ওঠে, 'দাদি আমরার খেলার মাঠ নাই। একটা খেলার মাঠের ব্যবস্থা করবেন।'
জবাবে প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস পেয়ে এখন মহাখুশি পান্না। এ নিয়ে তার নিজ এলাকা ময়মনসিংহের নান্দাইলে চলছে ব্যাপক আলোচনা। পান্না এখনো ঢাকায় থাকায় তাকে কাছে পেতে ও এক নজর দেখতে উন্মুখ হয়ে আছে এলাকার মানুষ।
শুক্রবার দুপুরে কথা হয় পান্নার সঙ্গে। জানতে চাইলে পান্না বলে, 'আমার নিয়তই ছিল প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরবাম, কথা কইয়াম। পুরস্কার নেওয়ার সময় দাদি ডাইক্যা খেলার মাঠের কথা কইয়া আশা পূরণ অইছে।'
বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা গোল্ডকাপ টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয় ময়মনসিংহের নান্দাইলের পাঁচরুখি সরকারি বিদ্যালয়ের মেয়েরা। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে তারা রংপুর বিভাগকে ১-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। এই সফলতায় আনন্দে ভাসছে নান্দাইল।
পান্নার বাড়ি নান্দাইল উপজেলার ১০ নম্বর শেরপুর ইউনিয়নের পাঁচরুখি গ্রামে। তার বাবা দুলাল মিয়া প্রায় ১০ বছর ধরে ঢাকার একটি পোশাক কারখানায় পিয়ন হিসেবে কর্মরত। স্ত্রীকে নিয়ে তিনি সেখানেই বসবাস করেন। আরেক মেয়ে হালিমাও একই দলের খেলোয়াড়। সে পড়ে পঞ্চম ও পান্না তৃতীয় শ্রেণিতে। গ্রামে দাদির সঙ্গে থাকে হালিমা ও পান্না। দুইজনই ফরোয়ার্ডের খেলোয়াড়।
বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে দুইজনের খেলাই সবার নজর কাড়ে। পুরো দলটি এখনো ঢাকায় অবস্থান করছে।
দলের সহকারী কোচ দেলোয়ার হোসেন উজ্জল বলেন, নান্দাইলের ঢাকাস্থ সমিতির অনুরোধে দলটি আরো দুই দিন ঢাকায় অবস্থান করবে। শনিবার চ্যাম্পিয়ন দলটিকে ঢাকায় সংবর্ধনা দেবে সমিতি। এরপর নিজ এলাকায় যাবে দলটি।