টাঙ্গাইলের সখীপুরে বনের মধ্যে প্রেমিককে আটকে রেখে প্রেমিকাকে গণধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ মামলার প্রধান আসামি সাদ্দাম হোসেনকে (২৭) গ্রেফতার করেছে র্যাব। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে টাঙ্গাইল শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকার আবাসিক হোটেল রাঙ্গামাটি কর্টেজ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার সাদ্দাম সখীপুর উপজেলার দক্ষিণ ঘাটেশ্বরী গ্রামের ইস্রাফিল মিয়ার ছেলে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১২ কার্যালয়ে এক প্রেস বিফ্রিংয়ে টাঙ্গাইল র্যাব-১২ সিপিসি-৩ এর কোম্পানি কমান্ডার মো. শফিকুর রহমান জানান, গত মার্চ ১১ মার্চ সখীপুর উপজেলার বহেড়াতৈল ইউনিয়নের একটি বনের মধ্যে প্রেমিকের সামনে প্রেমিকাকে গণর্ধষণ ও ভিডিও ধারণ করে সাদ্দাম হোসেন ও তার সহযোগীরা। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার ভোরে মামলার প্রধান আসামি সাদ্দামকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামি সাদ্দাম এ মামলা ছাড়াও ২০১৪ সালের একটি হত্যা মামলার আসামি বলেও জানান তিনি। মামলার সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ মার্চ সোমবার বিকেলে ওই কিশোরী তার প্রেমিকের সঙ্গে উপজেলার বহেড়াতৈল ইউনিয়নের উলিয়াচালা খেলার মাঠের পাশে বসে গল্প করছিল। এ সময় ওই ইউনিয়নের দক্ষিণ ঘাটেশ্বরী গ্রামের ইস্রাফিল মিয়ার ছেলে সাদ্দাম হোসেন (২৭), তার বন্ধু আশরাফুল (২৬), জালাল উদ্দিন (২৫), নজরুল ইসলাম (৩০) ও আফাজ উদ্দিন (২৩) মোটরসাইকেল নিয়ে সেখানে যায়। তারা ওই প্রেমিক-প্রেমিকার গতিবিধি ফলো করে। পরে ওই প্রেমিক যুগলকে হাত-মুখ বেঁধে পাশের একটি বনে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করা হয়। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে প্রেমিক আবদুর রহিমকে (বাবু) গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে সাদ্দাম, আশরাফুল ও জালাল ওই কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের ভিডিওচিত্র ধারণ করে। এরপর প্রেমিক যুগলকে বিবস্ত্র করে তাদের নানা আপত্তিকর দৃশ্যও মুঠোফোনে ধারণ করে তারা। বিকেল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলে তাদের ওপর এ পাশবিক নির্যাতন।
লোমহর্ষক এ ঘটনায় সাদ্দামসহ পাঁচজনকে আসামি করে সখীপুর থানায় ধর্ষণ মামলা করেন ধর্ষিতার বাবা। অবশেষে প্রায় ২৪ দিন পর ওই মামলার প্রধান আসামি সাদ্দাম গ্রেফতার হলো।